BCS Cadre Choice
বিসিএসে সবচেয়ে ভাল ক্যাডার কোনটি?
বিসিএসের
আবেদন
ফর্ম
পূরণের
সময়
একজন
প্রার্থী
যে
বিষয়টি
নিয়ে
সবচেয়ে
বেশি
দ্বিধাদ্বন্দ্বে
থাকেন,
তা
হল
কোন
ক্যাডারটি
তিনি
ফার্স্ট
চয়েস
হিসেবে
দিবেন।
দ্বিধা
নিরসনে
অনেকেই
বিভিন্ন
ক্যাডারের
তুলনামূলক
সুবিধা
অসুবিধা
সম্পর্কে
জানতে
চান।
আজকের
পোস্টে
সে
সম্পর্কেই
আলোচনা
থাকছে।
প্রথমত
জেনে
রাখুন,
কোন
ক্যাডারই
নিরঙ্কুশ
ভাল
কিংবা
মন্দ
নয়।
প্রতিটারই
সুবিধা-অসুবিধার
দিক
আছে।
আপনার
ব্যক্তিত্ব,
চাওয়া,স্বপ্নের
সাথে
প্রতিটি
ক্যাডারের
সুবিধা
অসুবিধার
দিকটি
সমন্বয়
করেই
আপনি
আপনার
জন্য
শ্রেষ্ঠ
ক্যাডার
নির্বাচন
করবেন।
আপনার
সিদ্ধান্ত
গ্রহণকে
সহজ
করতে
আলোচিত
কিছু
ক্যাডারের
ইতি
ও
নেতিবাচকতা
সংক্ষপে
তুলে
ধরছিঃ
১. পুলিশঃ
২. প্রশাসনঃ
৩. ট্যাক্সঃ
৪.
আনসারঃ
৫. নিরীক্ষা
ও হিসাবঃ
৬. ইকনমিকঃ
৭. পররাষ্ট্র
১. পুলিশঃ
১. পুলিশঃ
ছোটবেলা
থেকে
মুগ্ধনয়নে
হুশ
করে
বেরিয়ে
যাওয়া
পুলিশের
গাড়ি,
ইউনিফরম, র্যাংকব্যাজ
দেখে
আসছেন,
দেশী-
বিদেশী
লেখকদের
উপন্যাস
/ফিকশন
পড়ার
সময়
নিজেকে
পুলিশ
অফিসার
হিসেবে
ভেবে
কল্পনার
রাজ্যে
ভেসে
বেড়িয়েছেন।
বিসিএস
পুলিশ
ক্যাডারে
যোগদান
করে
আপনিও
হতে
পারেন
অনেক
স্বপ্ন
– কল্পনার
সেই
বাহিনীর
একজন
উর্ধবতন
কর্মকর্তা।
ক্যারিয়ার প্রসপেক্টসঃ
আপনি
চাকুরিতে
যোগদানের
পর
ট্রেনিং
শেষে
আপনি
দুই/তিনটি
থানার
সমন্বয়ে
গঠিত
সার্কেলের
দায়িত্ব
পাবেন।
এরপর পদোন্নতি
পেয়ে
হবেন
এডিশনাল
এসপি
বা
অতিরিক্ত
পুলিশ
সুপার।
এরপর
একটি
জেলার
আইনশৃঙ্খলার
দায়িত্ব
নিতে
পুলিশ
সুপার
পদে
দায়িত্ব
পাবেন।
এরপর
যথাক্রমে
এডিশনাল
ডিআইজি,
ডিআইজি,
এডিশনাল
আইজি,
আইজিপি
পদে
উন্নীত
হবার
সুযোগ
আপনার
জন্য
অবারিত
থাকবে।
সুবিধাঃ
১.
বিপন্ন
মানুষকে
সরাসরি
সাহায্যের
হাত
বাড়ানো
ও
বিপদমুক্ত
করার
ক্ষমতা।
২.
অন্যান্য
ক্যাডারের
মতো
মূল
বেতনের
পাশাপাশি
বিভিন্ন
প্রকার
ভাতা। যেহেতু
অফিসের
বাইরে
কাজ
থাকে
বেশি
সেক্ষেত্রে
বেতনের
অতিরিক্ত
দৈনিক
ভাতা
সবচেয়ে
বেশি
।
ঢাকার
বাইরে
এর
হার
৫০০,
ঢাকায়
৬৫০
টাকা
।বিশেষ
ভাতাও
থাকবে
যেমন
র্যাবে
অতিরিক্ত
৭০%,
ট্রাফিকে
৩০%,
ডিএমপিতে
বিশেষ
ভাতা
প্রায়
৭০%,
সি
আই
ডি,
পুলিশ
হেডকোয়াটার্সএ
৫০%
ইত্যাদি
।
৩. রেশনঃ
৪
জনের
পরিবারের
জন্য
পর্যাপ্ত
রেশন
দেওয়া
হয়।
৪.
সার্কেল
বা
জেলার
দায়িত্ব
পেলে
সুপরিসর-
সুসজ্জিত
বাংলো
পাওয়া
যায়।
সম্প্রতি
পুলিশের
জন্য
নতুন
নতুন
আবাসিক
প্রকল্প
হাতে
নেওয়া
হচ্ছে।
৫. প্রচুর
বিদেশে
প্রশিক্ষণ
ও
ভ্রমণের
সুবিধা।
৬. অন্যান্য
ক্যাডারদের
মতো
বিপুল
সংখ্যক
পুলিশ
কর্মকর্তা
এখন
উচ্চ
শিক্ষার্থে
বিদেশ
গমন
করছেন।
৭. পুলিশে
ট্রেনিং
শেষে
রাজশাহী
বিশ্বদ্যিালয়
থেকে
পুলিশ
সাইন্সে
মাস্টার্স
দেওয়া
হয়।
পাবলিক
ভার্সিটির
একটা
মাস্টার্স
ডিগ্রী!
কম
কি!
এছাড়া
ও
এফ
বি
আই
এর
মতো
সংস্থার
সাথেও
পড়াশুনা
ও
ট্রেনিং
এর
সুযোগ
পাওয়া
যায়।
৮. ন্যুনতম
তিনবার
জাতিসংঘ
শান্তি
মিশনে
যেয়ে
বিশ্বশান্তি
তে
অবদান
রাখার
পাশাপাশি
নিজে
কোটিপতি
হবার
সুযোগ।
৯. মেয়েদের
অগ্রাধিকারঃ
অনেকেই
ভুল
ধারনা
পোষণ
করেন
যে,
পুলিশের
চাকুরী
মেয়েদের
জন্য
উপযুক্ত
নয়।
আমি
চ্যালেঞ্জ
করে
বলতে
পারি
বাংলাদেশ
পুলিশে
নারী
সদস্যরা
যে
সম্মান
এবং
অগ্রাধিকার
পেয়ে
থাকেন,
অন্য
কোন
পেশায়
সে
মর্যাদা
তারা
ভোগ
করেন
না।
১০. আন্তঃবাহিনী
পর্যায়ে
কাজ
করার
সুযোগ
১১. পদোন্নতি
ভাল।
ভবিষ্যতে
উপরের
দিকে
পদসংখ্যা
বাড়লে
পদোন্নতি
আরো
তরান্বিত
হবে।
১২.
ইউনিফরম
ভাল
না
লাগলে
সিভিল
ড্রেসে
এসবি,
ডিবিতে
কাজের
সুযোগ।
তাছাড়া
পুলিশ
কর্মকর্তাদের
জন্য
এনএসআই,
দুদক
প্রভৃতি
সংস্থায়
প্রেষণে
দায়িত্ব
পালনের
সুযোগ
রয়েছে।
১৩. পারিবারিক
সুরক্ষাঃ আপনি
পুলিশ
হয়েছেন
মানে
আপনি
ও
আপনার
পরিবারের
সদস্যবর্গ
সমাজের
খারাপ
মানুষদের
হাত
থেকে
নিরাপদ।
আপনার
বা
আপনার
স্বজনদের
ক্ষতি
করার
চিন্তা
দূরে
থাকুক,
বরং
অতীতে
কোন
ভুল
হয়ে
থাকলে
সেজন্য
এসে
ক্ষমা
চেয়ে
যাবে।
অসুবিধাঃ
অসুবিধাঃ
১.
কাজের
প্রেসার
খুব
বেশি।
শুক্র-শনি
বলে
কিছু
নেই,
কখনো
কখনো
কর্মক্ষেত্রে
ঈদও
করতে
হতে
পারে।
২.
ছুটি
কম
৩.
পদোন্নতি
বিষয়ক
জটিলতা
বিদ্যমান।
তবে
আশা
করা
যায়
শিগগির
এই
জটিলতা
মিটে
যাবে।
৪. স্থানীয়পর্যায়ে
বিভিন্ন
প্রেশার
গ্রুপের
চাপের
যে
বিষয়টি
খুব
আলোচিত
হয়,
তবে
আমরা
বর্তমানে
যে
উন্নত
সমৃদ্ধ
বাংলাদেশ
গঠনের
পথে
এগিয়ে
চলেছি,
সেখানে
সকল
প্রকার
চাপমুক্ত
কর্মদক্ষ
একটি
পুলিশ
প্রশাসনই
বিদ্যমান
থাকবে,
নিশ্চিত
থাকুন।
২. প্রশাসনঃ
ক্যারিয়ার প্রসপেক্টঃ
চাকুরির
শুরুতে
সহকারী
কমিশনার
ও
এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট
হিসেবে
জেলা
প্রশাসকের
কার্যালয়ে
দায়িত্ব
পাবেন।
সেখানে
মোবাইল
কোর্ট পরিচালনা
থেকে
শুরু
করে
পাবলিক
পরীক্ষায়
ম্যাজিস্ট্রিয়াল
দায়িত্ব
পালনসহ
বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ
সরকারি
কাজে
নিয়োজিত
থাকবেন।
দুই
তিন
বছরের
মধ্যে
এসি
ল্যান্ড
হিসেবে
এলাকাবাসীর
সবচেয়ে
জটিল
সমস্যা-
ভূমি
সমস্যা
সমাধানের
দায়িত্ব
আপনার
ওপর
বর্তাবে।
৭-৮
বছর
পর
UNO হবেন
(২৮
তম
বিসিএসের
অফিসারেরা
ইউএনও
হচ্ছেন)।
উপজেলা
লেভেলে
মাননীয়
সংসদ
সদস্যের
অনুপস্থিতিতে
আপনি
হবেন
সকল
অনুষ্ঠানের
প্রধান
অতিথি
হিসেবে
অটো
চয়েস।
সরকারের
প্রতিনিধি
হিসেবে
আপনি
সকল
বিভাগ
ও
দফতরের
মধ্যে
সমন্বয়ের
দায়িত্ব
পালন
করবেন।
এরপর
আপনি
হবেন
একটি
জেলার
ডিসি।
আর
ডিসি
হিসেবে
আপনি
বলতে
গেলে
ওই
জেলার
রাজা।
(যদিও
আমি
রাজাপ্রজা
এই
ধারনার
বিপক্ষে,আমরা
সবাই
প্রজাতন্ত্রের
কর্মচারী)
সার্বিক
প্রশাসনিক
দায়িত্ব
আপনার
হাতে
ন্যস্ত
থাকবে।
এরপর
আপনি
সচিবালয়ে
যুগ্মসচিব,
অতিরিক্ত
সচিব
এবং
সচিবের
দায়িত্ব
পালন
করবেন।
সুবিধাঃ
১. এই
ক্যাডারের
দায়িত্ব
মাঠ
প্রশাসনে
অন্য
সব
ক্যাডারের
মধ্যে
সমন্বয়
সাধন।
তাই
সহজেই
আপনি
সবার
মধ্যমণি
হয়ে
ওঠার
সুযোগ
পাবেন।
২.
সচিবালয়ের
উপসচিব
ও
তার
উপরের
পদমর্যাদার
কর্মকর্তাবৃন্দের
৭৫%
ই
এই
ক্যাডার
থেকে
নিয়োগ
লাভ
করেন।
৩.
জনগনের
সরাসরি
সেবায়
আত্মনিয়োগ
করতে
চাইলে
এডমিন
ক্যাডারের
বিকল্প
নেই।
৪.
অন্য
সব
ক্যাডারের
মধ্যে
এডমিনক্যাডাররাই
সর্বোচ্চ
ফরেন
ডিগ্রী
অর্জনের
সুযোগ
পান।
স্কলারশিপ
ও
প্রচুর।
৫.
লজিস্টিক
সুবিধা
ভাল।
৬.
মোবাইল
কোর্টের
মাধ্যমে
বিচারিক
দায়িত্ব
পালন।
৭.
সরকারের
পক্ষে
এই
ক্যাডার
মাঠ
প্রশাসনে
নেতৃত্ব
দেয়।
৮.
প্রেষণে
বিভিন্ন
সংস্থায়
নিয়োগ
লাভের
সুযোগ।
অসুবিধাঃ
(পুলিশ
ও
প্রশাসন
ক্যাডারের
অসুবিধা
প্রায়
একই)
১.
কাজের
প্রেসার
খুব
বেশি।
শুক্র-শনি
বলে
কিছু
নেই,
কখনো
কখনো
কর্মক্ষেত্রে
ঈদও
করতে
হতে
পারে।
২.
ছুটি
কম।
৩.
পদোন্নতি
বিষয়ক
জটিলতা
বিদ্যমান।
তবে
আশা
করা
যায়
শিগগির
এই
জটিলতা
মিটে
যাবে।
৪.
রাজনৈতিক
চাপের
যে
বিষয়টি
খুব
আলোচিত
হয়,
তবে
আমরা
যে
উন্নত
সমৃদ্ধ
বাংলাদেশ
গঠনের
পথে
এগিয়ে
চলেছি,
সেখানে
সকল
প্রকার
চাপমুক্ত
কর্মদক্ষ
একটি
আমলাতন্ত্রই
বিদ্যমান
থাকবে,
নিশ্চিত
থাকুন।
লিখাটি
বড় হওয়ায়
বিস্তারিত
পিডিএফে দেখুন।
No comments